ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

যশোরের কেশবপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। মাদকে জড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাং। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিস্তার বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সময়ে কেশবপুর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলেও থামছে না মাদকের ছোবল। কেশবপুর শহরকেন্দ্রিক এলাকাসহ ১১ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেও এর ভয়াবহতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উঠতি বয়সি যুবক, কিশোর গ্যাং জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে। এর মধ্যে উপজেলার মূলগ্রাম, মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, আলতাপোল, মঙ্গলকোট, চুয়াডাঙ্গা, কর্ন্দপপুর, হাসানপুর, টিটাবাজিতপুর, বুড়িহাটি, চিংড়া, সাগরদাঁড়ি, ঝিকারা, জিয়েলতলা, মজিদপুর, প্রতাপপুর, শ্রীফলা, পাঁজিয়া, মাদারডাঙ্গা, কলাগাছি, গৌরিঘোনা, সন্নাসগাছা, আড়ুয়াসহ পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় ও বহিরাগত যুবকরা এসে মাদক ব্যবসাসহ সেবন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকরা প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার দাবি করেছেন। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা বলেন, প্রতিনিয়ত পৌর এলাকাসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদক স্পটে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। কিশোর গ্যাং মাদকে জড়িয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন কঠোর না হলে কেশবপুরবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বিশ্বাস বলেন, কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। মঙ্গলকোট বাজার, মাগুরখালী বাজারের পাশে, কর্ন্দপপুর এলাকার বিভিন্ন মাছের ঘেরের টং ঘরে, বসুন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও রামকৃষ্ণপুর এলাকার দিকে মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের আনাগোনা দেখা যায়। এ গ্যাংরা বড় ভাইদের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।

উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা সব সময় মাদককে না বলি। যদি এদের রুখে দেয়া না যায়, তাহলে কিশোর গ্যাং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তাই কেশবপুরবাসীকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য কঠোর ভাবে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত