টং গ্রামজুড়ে শুধু করলার মাচা

ঝুলছে করলা

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়নের পাড়ের টং গ্রামজুড়ে সবুজ পাতায় মাচা ঘেরা, মাচার নিচে ঝুলছে করলা। এই গ্রামটি ‘করলা গ্রাম’ হিসেবে বর্তমানে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কারণ, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকাররা গ্রামটিকে ‘করলা গ্রাম’ নামেই ডাকেন। সরজমিন আশিদ্রোনের পাড়ের টং গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, পুরো গ্রামজুড়ে করলার মাচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এই মাচার নিচে ঝুলছে করলা। এই গ্রামের প্রায় দেড়শ একর জমিতে করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি দৈনিক মজুরি হিসেবে করলা ক্ষেতে কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন সেখানকার নারীরা। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই গ্রামের করলা পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায়। আশিদ্রোনের পাড়ের টং এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের প্রায় দেড়শ একর জমিতে করলা চাষ হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার কেজি করলা পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। এই করলা বেচাকেনার জন্য এখানে একটি বাজার ও অনেকগুলো আড়ত তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি অন্যান্য দোকানও। স্থানীয় বাসিন্দা মো. নসু মিয়া বলেন, এই গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম করলা চাষ আমি করি। আমার দেখাদেখি অনেকে করলা চাষ শুরু করেছেন। এখন গ্রামের প্রায় সবাই করলা চাষ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় করলা চাষে সময় কম লাগে ও লাভ বেশি হয়। প্রতিদিনই পাইকাররা এসে করলা কিনে নিয়ে যান। করলা চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছি। পাড়ের টং গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, আমার নিজের জমি নেই। প্রতিদিন অন্যের ক্ষেতে কাজ করি। প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা মজুরি পাই। আমাদের এখানে কাজের সুযোগ হয়েছে। আমাদের গ্রামে এখন বেকার মানুষের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। নারী, পুরুষ, এমনকি আমাদের সন্তানরাও পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে করলা ক্ষেতে। মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে আসা পাইকার সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. জাকির হোসেন বলেন, এই গ্রাম থেকে আমি প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার কেজি করলা কিনে নিয়ে যাই। এগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।