প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে হরিজনদের কাজে

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

স্বপন বাশফোর (৩৮)। হরিজন সম্প্রদায়ে জন্ম তার। ৩০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় তিনি মানুষের বর্জ্য-ময়লা পরিষ্কার কাজের সঙ্গে জড়িত। একসময় বালতি ও কোদালই ছিল ভরসা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে কাজের ধরন। হাতের স্পর্শ ছাড়াই মেশিনের সাহায্যে পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য-ময়লা পরিষ্কার করেন তিনি। স্বপন বাশফোর জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর বাজার এলাকার মৃত রতন বাশফোরের ছেলে। তিনি ছাড়া এখানে প্রায় ১৫-১৭টি পরিবারের বসবাস। স্বপন বাশফোর জানান, এখন আর আগের মতো তাদের ঝামেলা নেই। সারাদেশের হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন জাপানের তৈরি মেশিন দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করেন। তিনিও জামালপুর শহর থেকে একটি মেশিন সংগ্রহ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। ৬ থেকে ৭ বছর ধরে তিনি মেশিনটি ব্যবহার করছেন। হরিজন সম্প্রদায়ের নারী সদস্য মালা বাশফোর (৩২) বলেন, অধিকাংশই বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকেই অন্য কাজও করছেন। তবে আমরা স্বপ্ন দেখি আমাদের সন্তানরা মানুষের মতো মানুষ হবে। দেশের সেবায় নিয়োজিত হবে। তবে হরিজনদের দুঃখ, তাদের কোটাও এখন অন্য ধর্মাবলম্বীরা দখলে নিয়েছে। অফিস-আদালতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদে আবেদন করতে গেলে সেখানেও টাকা ও প্রভাবশালীদের দাপটে বঞ্চিত হন। লেখক ও প্রাবন্ধিক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের সংবিধানে দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন যুগ যুগ ধরে সামাজিকভাবে তাচ্ছিল্যের শিকার। তবে বর্তমানে তাদের বসবাস ও পেশার ধরন পরিবর্তন হয়েছে।