ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুই জেলায় দুই হত্যা

দুই জেলায় দুই হত্যা

নীলফামারীতে ভাসুরের লাঠির আঘাতে গৃহবধূ এবং ফেনীর সোনাগাজীতে জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসক মারা যান। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নীলফামারী : জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধে বড়ভাই আফজাল হোসেনের বাঁশের লাঠির আঘাতে ছোটভাই জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী রাকিবা আকতার মারা গেছে। গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান সদর থানার ওসি মো, মুক্তারুল আলম। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের দলবাড়ী গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক জয়নালের বাবা মফিজ উদ্দিন ও জয়নালের স্ত্রী ইয়াসমিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিয়োগ এনে নিহতের বড়ভাই এরশাদ আলী একটি হত্যা মামলা করেছেন।

সোনাগাজী (ফেনী) : ফেনীর সোনাগাজীর ছাড়াইতকান্দি গ্রামে গত শুক্রবার জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. মিজানুর রহমান নামে এক হোমিও চিকিৎসক নিহত ও তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান আহত হয়েছেন। মিজান মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক, ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য এবং ছাড়াইত কান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলে। নিহতের পরিবার জানায়, মৃত নূরুল হুদার ছেলে মিজানুর রহমান গংদের সঙ্গে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন গংদের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে গেলে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন ও সবুজের ছেলে বাবলুর ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী ডা. মিজানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর আহত করে। তার ওপর হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে মিজানকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সোনাগাজী মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত