গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাতের আঁধারে কাটা তারের বেড়া ও ছাপড়া ঘর দিয়ে জমি জবর-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষরা ভাড়াটে লোক দিয়ে জোরপূর্বক ওই জমি জবর দখল করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাঝুখান এলাকায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকালে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওই জমি বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান এলাকার জমির দখলীয় মালিক জাকির হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারিস সূত্রে ৩৭ শতাংশ জমি ভোগ দখলে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে প্রতিপক্ষ আ. রহিম গং একই জমি ওয়ারিস সূত্রে মালিক দাবি করে আসছে। বিষয়টি একাধিক বার বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ রহিম গংদের কাগজপত্রের অভাবে স্থানীয়ভাবে মীমাংশা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে জাকির হোসেন আদালতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করেন। কিন্তু ওই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ রহিমের ছেলে ও স্থানীয় কমিনিউটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সফিকুল ইসলাম ভাড়াটে লোক দিয়ে গত শুক্রবার রাতের আঁধারে ওই জমি জবরদখল করে। ক্ষতিগ্রস্ত জাকির হোসেন জানান, ওয়ারিশ হিসেবে জমি সমান ভাগ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেকর্ডের সময় জমি সমান ভাগ না হয়ে ভুল ক্রমে রহিম ও মিজান গংদের নামে বেশি রেকর্ড হয়। এ জন্য তারা বিভিন্ন সময় ওই জমি দাবি করলেও জমির বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে না। পরে বাধ্য হয়েই আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করেছি। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের মিজান জানান, জাকির জোড় করে আমাদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। রেকর্ড সূত্রে আমরা জমির মালিক। এজন্য আমরা আমাদের জমিতে সীমানা পিপলার স্থাপন করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ এবং জমির মালিকানা স্বত্বসম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি।