ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হার্ভেস্টার মেশিনে মালিকরা ক্ষতির শিকার

হার্ভেস্টার মেশিনে মালিকরা ক্ষতির শিকার

সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে হাওর অঞ্চলের হার্ভেস্টার মালিকরা দেশের শীর্ষ খাদ্য উৎপাদনকারী জেলা দিনাজপুরে ধান কাটছে। এতে করে দিনাজপুর জেলার হার্ভেস্টার মালিকরা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কৃষি বিভাগকে জানিয়েও কোনো ধরনের প্রতিকার পাচ্ছে না এই জেলার হার্ভেস্টার মালিকরা। অবিলম্বে বাইরের হার্ভেস্টার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে দিনাজপুরের হার্ভেস্টার মালিকরা। গতকাল রোববার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা কম্বাইন হার্ভেস্টার মালিক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুনেম। এসময় সভাপতি ইমতিয়াজ আহম্মেদ, সহ-সভাপতি রহমতুল্লাহ রহমত ও আজাদ হোসেনসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা জানানো হয়- পিক সিজনে ধান কর্তন করার জন্য উন্নয়ন সহায়তায় প্রাপ্ত কম্বাইন হারভেস্টার একই জেলার অভ্যন্তরের ক্ষেতে যে উপজেলায় গমন করবে তা উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করতে হবে এবং অন্য জেলায় স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার উপ-পরিচালকের প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যয়নপত্র মোতাবেক কাঙ্ক্ষিত উপজেলায় গমনের পর উপজেলা কৃষি অফিসারকে আগমনী বার্তা প্রদান করবেন। পিক সিজনে ধান কর্তন শেষে ছাতপত্র গ্রহণ ও তার নিজস্ব উপজেলা কৃষি অফিসারকে আগমনী বার্তা প্রদান করবেন। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনা অমান্য করে হাওর অঞ্চলের হারর্ভেস্টার মালিকরা অনুমতি ছাড়াই দিনাজপুরে প্রবেশ করছে। এতে দিনাজপুরের হারভেস্টার মালিকরা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা আরও জানান, হাওর অঞ্চলে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ ও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ধান কাটা শেষ হয়ে যায়। আর দিনাজপুরের ধান পাকতে শুরু করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। তাই হাওড়ের হার্ভেস্টারগুলো তাদের সেখানের ধান কাটা হলে অধিক লাভের আশায় দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক দিনাজপুর চলে আসে। আমরা হার্ভেষ্টারগুলো ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে পেয়েছি। আর হাওড়ের হার্ভেষ্টারগুলো ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে পেয়েছে। এতে তাদের হার্ভেস্টারগুলোর দাম কম পড়ছে আর আমাদের হার্ভেস্টারগুলোর দাম বেশি পড়ছে। হাওরের হার্ভেস্টার আসার কারণে দিনাজপুরের মালিকেরা এক একটি কম্বাইন হার্ভেস্টারের বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান কাটতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত আয় না থাকায় কোম্পানি চক্রবৃদ্ধি সুদের ফাঁদে পড়ে ও গাড়ির অতিরিক্ত ডেমারেজের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে হার্ভেস্টার মালিকেরা কোম্পানির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। গাড়ি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তাদের কিস্তির টাকা না পেয়ে মাঠ থেকে তাদের বিক্রীত গাড়িগুলো বাজেয়াপ্ত করে কোম্পানিতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত