হিলি স্থলবন্দর

৯ মাসে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি ১১৯ কোটি টাকা

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর

শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলিতে চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাস রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। তবে আগামী ঈদুল আজহার সময় মসলা জাতীয় শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ঘাটতি পূরণের আশা করা হচ্ছে।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রথম ৯ মাস রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি ১১৯ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ৪৪০ কোটি টাকা থাকলেও রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা। শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ডলারের তীব্র সংকট ও শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি পড়ে। এসব কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের তুলনায় ১১৯ কোটি টাকার ঘাটতির মুখে পড়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

তবে আগামী ঈদুল আজহার সময় শুল্কযুক্ত মসলা জাতীয় পণ্য আমদানির স্বাভাবিকভাবে বেশি হওয়ায় ঘাটতি পূরণে অনেকটা সম্ভব হবে বলে কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ আশা করছেন।

হিলি শুল্ক স্থলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের জুলাই মাসে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার স্থলে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লাখের বিপরীতে ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা সেপ্টেম্বর ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকার স্থলে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা অক্টবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে ২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং ফেব্রুয়ারি ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়। প্রথম ৮ মাসেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও শুধু মার্চ মাসে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার স্থলে রাজস্ব আদায় হয় ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। শুধু ১ মাসে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব পাওয়া যায়।

শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়েজিদ হোসেন জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ৯ মাসে এ স্থলবন্দরে ১০ লাখ ১২ হাজার মেঃ টন বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে। যা গত অর্থ বছরে একই সময় হয়েছিল ১৪ লাখ ৬৪ হাজার মেঃ টন। স্বাভাবিকভাবে ৪ লাখ মেঃ টন পণ্য আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব কমেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তার অধিকাংশই শুল্কমুক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে শুল্ক আদায় হয়নি।

তবে এ বছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে আমদানির জন্য ঋণপত্র এলসি খোলার হার বেড়েছে।

তাই আশা করা যাচ্ছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জাতের মসলা আমদানির ফলে লক্ষ্যমাত্রার ঘাটতি পূরণ অনেকটা সম্ভব হবে। কেননা, মসলা জাতীয় পণ্য শুল্কযুক্ত।