ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যত্রতত্র হচ্ছে পশু জবাই

যত্রতত্র হচ্ছে পশু জবাই

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ৫০-এর মতো স্থানে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ছাড়াই জবাই হচ্ছে পশু। প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় মূল্য নির্ধারণ করেন মাংস বিক্রেতারা। শ্যামনগরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সদরসহ প্রায় ৫০টি জায়গায় এসব পশু জবাই করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর শরীরে কোনো রোগবালাই রয়েছে কি না, এমন কোনো ধারণাও রাখেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ছাড়া প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় মূল্য নির্ধারণ করেন মাংস বিক্রেতারাই। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদরের হায়বাতপুর মোড়, সোনারমোড় প্রতি, নকিপুর বাজার, মুন্সীগঞ্জ, নওয়াবেকী, কাশিমাড়ী, নুরনগর, শংকরকাটি, বংশীপুর, খানপুরসহ বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রায় প্রতিদিনই ১৫/২০টি গরু ও ১০/১২টি ছাগল জবাই হচ্ছে।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা সিরাজ, আজাদ মোল্লা, আফজাল, গোডাউন মোড় এলাকার সাজাহান হায়বাতপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল, তাও জানেন না তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, প্রথমত পুরো উপজেলাজুড়ে পশু জবাইয়ের নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। আর প্রতিদিন পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো জনবলও আমাদের নেই। যদি পশু জবাইয়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করা হয়, তাহলে সঠিক নিয়মে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন বলেন, পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এটি প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও কসাইদের মধ্যে সমন্বয় করে নেয়ার বিষয়। যদি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই না করার কারণে পরীক্ষা করতে সমস্যা হয়। তাহলে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও কসাইদের মধ্যে সমন্বয় করে জবাইয়ের একদিন আগে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নিয়ে রাখতে পারে। আর পশুর মাংস বিক্রয়ের সময় বেশি মূল্য নিচ্ছে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অথরিটি ডা: জিয়াউর রহমান বলেন, অসুস্থ পশুর মাংস মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। পরীক্ষা ছাড়া অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি যতদ্রুত সম্ভব উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এর একটা সমাধান করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত