ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরীক্ষা চলাকালীন লোডশেডিং

৪ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে

৪ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে

কুমিল্লার তিতাসে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময় টানা লোডশেডিংয়ে ৪ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার তিতাস উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার গণিত ও একটি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সকাল ১০টায় উক্ত গাজীপুর আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা ও গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে লোডশেডিং ছিল। ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলে। অপরদিকে উপজেলার বাতাকান্দি উচ্চবিদ্যালয় ও মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় লোডশেডিং। টানা লোডশেডিং চলে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বলেন, লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এর মধ্যে আধা ঘণ্টা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তাই কক্ষগুলোতে আলো কম ছিল।

গাজীপুর আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. নুরুল আমিন জানান, লোডশেডিংয়ে বোরকা পরা শিক্ষার্থীদের প্রচুর কষ্ট হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ বলেন, লোডশেডিংয়ের সমস্যা সারা দেশব্যাপী হচ্ছে। আজকে একাধিক কেন্দ্রে দেখেছি শিক্ষার্থীদের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। আগামী পরীক্ষাগুলোতে যাতে লোডশেডিং কমিয়ে রাখা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তিতাস জোনাল অফিসের এজিএম মো. ওসমান ফারুক বলেন, আমাদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আজকে বাতাকান্দি এলাকায় একটি সমস্যা হওয়ায় সার্টডাউনে ছিলাম, তাই দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে লোডশেডিং একটু বেশি হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমরা এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি যাতে পরীক্ষার সময় লোডশেডিং কমিয়ে আনা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত