দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু হচ্ছে ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট। গতকাল মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহে একদিন করে বসবে এ হাট। এর আগে ২০২০ সালের ৩ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে উভয় দেশের কর্তাদের সম্মতিতে এই হাট বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে গত ২৬ এপ্রিল বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে হাট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ফেনী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাস ও ভারতের শ্রীনগরের এডিএম ধনবাবু রিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে সীমান্ত হাট চালু করেন।
জানা যায়, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানো এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দেশের তৃতীয় সীমান্ত হাট হিসেবে চালু হয় ফেনীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটটি। বাংলাদেশের ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব মধুগ্রাম ও ভারতের ত্রিপুরার শ্রীনগর এলাকার মাঝামাঝি স্থানে বাজারটি স্থাপন করা হয়। এখানে ২৬টি করে ৫২টি দোকান সমান ভাগে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, এ বাজারের বাংলাদেশি ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় মসলা, কসমেটিক্স, দুধ, হরলিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যের কদর বেশি। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রেতাদের বাংলাদেশি শুঁটকি, মুদিমাল, বেকারি, ফল ও প্লাস্টিকের পণ্যের প্রতি ঝোঁক বেশি। ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফখরুল ইসলাম জানান, সীমান্ত হাটে এবার কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেই আলোকে সুষ্ঠুভাবে বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বর্ডার হাট চালু থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান অভিষেক দাশ জানান, আগের সব নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহের প্রত্যেক মঙ্গলবার সীমান্ত হাট খোলা থাকবে। বাংলাদেশ অংশে প্রতি সপ্তাহের সোমবার অর্থাৎ হাটের আগের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সীমান্ত হাটে প্রবেশের টিকিট বিক্রি করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত, চোরাচালান প্রতিরোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি বন্ধে হাটে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখবে প্রশাসন।
