৩০০ ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ বিপাকে

সংস্কারের অভাবে বসবাসের অযোগ্য টিনশেড ঘর

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কাজী বাবলা, পাবনা

পাবনায় প্রায় ২ যুগ আগে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিনশেডের ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ঘরেই অনেকে বসবাস করছেন। আবার বসবাসের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়া ঘর ছেড়ে চলে গেছেন অনেক পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-২০০১ সালের দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় টিনশেড ব্যারাক নির্মাণ করে প্রায় ৩০০ ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তবে নির্মাণের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে বেশিরভাগ ঘর এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না করায় বেশিরভাগ ঘর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা নিজেরা অস্থায়ীভাবে কোনোরকমে মেরামত করে বসবাস করার চেষ্টা করলেও এগুলো সরকারি স্থাপনা হওয়ায় নিজেদের ইচ্ছেমতো কিছুই করা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক বাসিন্দা ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে, যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রায় ২০০ মানুষ এখনো সেখানেই বাস করছেন। আরেক বাসিন্দা ঝন্টু মিয়া বলেন, বেশিরভাগ ঘরের টিন মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ঘরের সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, গত বছর হেমায়েতপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৪৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ৩০০ পরিবারের জন্য নির্মিত পুরোনো ব্যারাকের সংস্কারের পরিকল্পনা থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনো সংস্কারকাজ হাতে নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, হেমায়েতপুরের এই ব্যারাকটি অনেক পুরোনো। প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত। সেটি সংস্কারের জন্য কী কী করতে হবে, তা নির্ধারণ করতে এরই মধ্যে একটি টিম কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত এই ব্যারাকটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।