‘পাটজাত পণ্যই প্লাস্টিকের বিকল্প’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেছেন, পলিথিনের বিকল্পও আমাদের ভাবতে হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প একমাত্র পাটজাত পণ্যই হতে পারে। যা পরিবেশবান্ধব। সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের মধ্যে পরিষ্কার না। গতকাল বুধবার শহরের এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে চাঁদপুর মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নাগরিক ভাবনা’বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি প্লাস্টিক তৈরিতে ৩৮টি কেমিক্যাল ব্যবহার হয়। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০টি কেমিক্যাল বেশী ক্ষতি হয়। একটি পলিথিন ৪ থেকে ৫ শত বছর মাটির নিচে থাকতে পারে, পচে না। আর তা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার কারণে দেশে ক্যান্সারের হার বাড়ছে। শিশুরাও এ ভয়ানক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের চারপাশে পলিথিন ও প্লাস্টিকে সয়লাভ। পৃথিবীর অনেক দেশে এগুলো নিষিদ্ধ রয়েছে। ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই। এই বিষয়ে শিক্ষকরা ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন। কোনো দ্রব্য যদি নির্মূল করতে হয়, তাহলে তার উৎপাদন বন্ধ করতে হয়। অ্যাডভোকেসি ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি মুনীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী।