ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টাঙ্গাইলে এমডি-২ জাতের আনারসের চারা বিতরণ

টাঙ্গাইলে এমডি-২ জাতের আনারসের চারা বিতরণ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফিলিপাইন থেকে আমদানিকৃত এমডি-২ জাতের আনারসের চারা চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বরীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষি

সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ডক্টর সুরজিত সাহা রায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডক্টর মোহাম্মদ মনসুর আলম খান, উপসচিব মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দীক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবু, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল।

এ সময় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফিলিপাইন থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানিকৃত ৫ লাখ ৪০ হাজার চারার মধ্যে মধুপুরে দুই

লাখ ৭০ হাজার, এমডি-২

জাতের আনারসের চারা ১২০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ

করা হয়।

প্রকাশ, মধুপুর গড়াঞ্চলে এমডি-২ জাতের আনারসের চাষ ও ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ মাসে পরিপক্ব হওয়া

এ আনারসের চারা বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জমিতে লাগানো যায়।

এ জাতের একটি আনারসের গাছ থেকে ২-৩টি চারা হয়। প্রতিটি দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের এই জাতের আনারস সবগুলো একই সাইজের হয়ে থাকে। দেশে প্রচলিত যেসব জাতের আনারস পাওয়া যায় তা থেকে এমডি-২ জাতের আনারসে চারগুণ বেশি ভিটামিন

সি রয়েছে। ফল পাকার পর দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখা যায়- নষ্ট হয় না।

ফলের চোখ বাইরে বা ভাসা থাকায় এ জাতের আনারসের ভক্ষণযোগ্য বা খাওয়ার যোগ্য অংশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। রপ্তানিপণ্য হিসেবে এ জাতের আনারস অনেক বেশি লাভজনক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত