লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গর্ভধারিণী মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি রেদওয়ান হোসেন মিলন আদালতে উপস্থিত ছিল। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদী ওই ঘাতকের মামা মো. টিপু সুলতান। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, মিলনের দেয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।
মামলার বাদী মো. টিপু সুলতান জানান, ঘাতক ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলন তার গর্ভধারিণী মা আমেনা বেগম ওরফে ভেলবা আক্তারকে কুপিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করে। রেদওয়ান হোসেন মিলন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র মতে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন সকালের দিকে বাড়ির লোকজন আমেনা বেগমের বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখে। এ সময় বাহির থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনা বেগমের পোড়া মৃতদেহ দেখতে পায়। বাড়ির লোকজনের কাছে সে তার মাকে হত্যার কথা জানায়। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
রামগঞ্জ থানা পুলিশ পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
ওই দিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান বাদী হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
