ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কে ঝরল ছয়জনের প্রাণ

সড়কে ঝরল ছয়জনের প্রাণ

সাতক্ষীরারয় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সংঘর্ষে পাঁচজন এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অটোরিক্সার চাপায় শিশু নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সাতক্ষীরা : পাটকেলঘাটায় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সংঘর্ষে আরো দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা মির্জাপুর শ্মশান এলাকায় পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা মেঘনা কোম্পানির একটি তেলবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গর্ভজাত ও নবজাতক, প্রসূতি মা, জামাতা ও ব্লাড ডোনারসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন গর্ভের যমজ সন্তানের একটি ভূমিষ্ঠ হলেও আরেকটি না হওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নেয়া হচ্ছিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সাথে ছিলেন জামাতা ও দুইজন ব্লাড ডোনারসহ স্বজনরা। পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় জানান, নিহতরা হলেন আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন ও তার গর্ভজাত এক এবং সদ্যভূমিষ্ঠ এক শিশুকন্যা, জামাতা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের নেছার উদ্দীনের ছেলে ডালিম হোসেন এবং আশাশুনির উজিরপুরের ব্লাড ডোনার তাজিজুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শিমুল রানা জানান, সাতক্ষীরাগামী মেঘনা কোম্পানির একটি তেলবাহী ট্রাক ও খুলনাগামী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সদর থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম সর্বশেষ জানান, মেডিকেলের তিনজন ছাড়াও খুলনা মেডিকেলে তাজিজুল ইসলাম নামের আরেক ব্লাড ডোনার মারা গেছেন। গর্ভজাত সন্তানসহ এই নিয়ে সড়কে ঝরেছে মোট পাঁচ প্রাণ।

গাইবান্ধা: গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামে গত বুধবার বাড়ির সামনে সড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী অটোরিকশার চাপায় ঘটানাস্থলেই তাবাসুম খাতুন নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অটোচালক আমিরুল ইসলামকে আটক করেছে। নিহত তাবাসুম কুমারগাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলাম নান্টুর মেয়ে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত