ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোচা

দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কিত কয়রাবাসী

দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কিত কয়রাবাসী

প্রচণ্ড গতিতে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোচা। আগামী ১৪ মে সন্ধ্যা নাগাদ মোচা খুলনা, বরিশাল ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে- আবহাওয়া দপ্তরের এমন সতর্কবার্তায় উপকূলজুড়ে লাখ লাখ মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীসংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ ও ১৪/২ পোল্ডারের ৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ দুর্বল ও ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় এখানকার লক্ষাধিক মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এর আগে সিডর, আইলা, আম্পান ও ইয়াসের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে কয়রা এলাকার ৫ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তÍীর্ণ এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে হয়। একটানা ৩ বছর তলিয়ে থাকায় কয়রার মানুষের ঘরবাড়ি, জমি জায়গা, সহায় সম্পদ, গাছপালা, গবাদি পশু সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের আশ্বাসের পর দীর্ঘদিন পার হলেও এখনো কার্যকর বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। মোচার আঘাতে আবারো বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এলাকার মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দক্ষিণ বেদকাশির ইউপি চেয়ারম্যান মোড়ল আছের আলী জানান, যুগ পার হয়ে গেছে; কিন্তু বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয় না। মোচা আঘাত হানলে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক, তাই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে শঙ্কিত এলাকার মানুষ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোচা মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা উপজেলা প্রশানের উদ্যোগে গত বুধবার দুপুরে পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

পাউবোর সাতক্ষীরা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ১৪/১ ও ১৪/২ পোল্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত