তীব্র খরায় ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচু

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে মৌসুমি ফলের ওপর। আম-লিচুর একাংশ ঝরে পড়ছে, ফেটে যাচ্ছে। যেগুলো ভালো আছে সেগুলোও আকারে বাড়ছে না। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সঙ্গে গুটিও হয়েছিল ভালো। এরই মধ্য বড় হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র দাবদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। সিংগাইর, সাটুরিয়া, ঘিওরসহ জেলার সাত উপজেলাতেই কম-বেশি লিচু ও নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝরে যাচ্ছে অপরিপক্ব আম ও লিচু। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার। ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের চরবাইলজুরী গ্রামের লিচু চাষি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল; কিন্তু অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং নিয়মিত সেচ দিচ্ছি, বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছি না।

আম চাষি নজরুল ইসলাম জানান, এ বছরের তাপদাহ খুব বেশি। এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে। বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা। এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি। ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার আমের মৌসুমটা কেন যেন খুব খারাপ যাচ্ছে। মাঝে একবার হালকা একটু বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে-পরে বৃষ্টি না থাকায় আমের খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। টানা গরমে আম ফেটে যাচ্ছে। আকার ছোট হওয়ায় আমের ফলনও কম হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক এনায়েত উল্লাহ বলেন, তীব্র দাবদাহের কারণে আম ও লিচুর একটা অংশ পড়ে গেছে। চাষিরা যেন লোকশানের মুখে না পড়েন সেজন্য ফলন ধরে রাখতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।