গরমে বেড়েছে তাল শাঁসের বিক্রি

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী)

জ্যৈষ্ঠের তীব্র খরতাপে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাবাসীর কাছে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় এ সময় বিভিন্ন বয়সি মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে এটি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাগলা গোলচত্বর

এলাকায় রিয়াজ সর্দার, তালুকদার বাজারে সুমন হাওলাদার, রাজাখালী বাজারে রিপন মোল্লা, থানা ব্রিজ এলাকায় খোকন হাওলাদার, বোর্ড অফিস বাজারে শাহ আলম, পীরতলা বাজারে আবু মুসা তালশাঁস বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা শাঁস কেটে রাখতে পারছেন না, কাটা শেষ হতে না হতেই ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া আঙ্গারিয়া বন্দর বাজার, কদমতলা বাজার, নতুন বাজার, পাতাবুনিয়া বাজার, হাজীরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে এ তালের শাঁস বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

ক্রেতা মো. হারুন বলেন, আমার দোকানের সামনে তালের শাঁস বিক্রি করে, আমি প্রতিদিনই কিনে খাই। এই

গরমের মধ্যে খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই।

গৃহিণী সাবিনা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েরা তালের শাঁস খেতে চায়, তাই কিনতে এসেছি। প্রতিটি তালের শাঁস ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তালের শাঁস বিক্রেতা মো. রিপন মোল্লা বলেন, ‘গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এই মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। প্রতিটি তালের ভেতরে ৩টি আবার কোনোটায় ২টি শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস ৫ টাকা করে বিক্রি করি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শাঁস বিক্রি করতে পারি।’

তাল গাছ একটি বহুমুখী উপকারী গাছ। তালগাছ মালিক সেকান্দার দফাদার জানান, আগের মতো লোকজন পাকা তাল খেতে চায় না। তাই আমি কাঁচা অবস্থায়ই প্রায় সব গাছের তাল বিক্রি করে দিই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল ইসলাম শাহিন আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পানি রয়েছে। এ ছাড়া এতে অনেক আঁশ রয়েছে। গরমে শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তালের শাঁস

খুবই উপকারী।