শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ২ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায়ের বাজার উপজেলার সদর বাজার। এ বাজারে হঠাৎ কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে একদিকে যেমন পানির সংকট, অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতায়াতের নেই কোনো রাস্তা। উপজেলার সর্ববৃহৎ এ বাজারকে অগ্রিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। এ বিষয়ে গত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। ফলশ্রুতিতে ১৩ মে শনিবার সকালে তিনি ঝিনাইগাতী সদর বাজারে ধানহাটি সংলগ্ন এলাকায় এক লাখ লিটার পানি সংরক্ষণের জন্য ওয়াটার রিজার্ভ ট্যাংকের স্থান নির্ধারণ করেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি যাতায়াতের জন্য বাজারের কয়েকটি গলি পরিদর্শন করে বাজারের সব দোকানপাট অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে রাস্তা নির্ধারণ করেন। বাজারের ভেতর দিয়ে গাড়ির যাতায়াতের জন্য গলির দুইপাশে দোকানদারদের কিছুটা জায়গা ছেড়ে দিতে হলেও তারা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবির, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মান্নান, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ মোখলেসুর রহমান খাঁন ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী। এ ব্যাপারে বাজারবাসীরা জানান, ইউএনও স্যারের এমন মহতী উদ্যোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে আমরা সহজেই রক্ষা পেতে পারব। তাছাড়া বাজারের ভেতর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। সে ক্ষেত্রে আমরা একটি রাস্তাও পাব।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ এমন উদ্যোগ নেননি। তাই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাজারের ব্যবসায়ীরা ইউএনওর ফারুক আল মাসুদ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই সড়ক ও ওয়াটার রিজার্ভ ট্যাংকের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
