ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্ক

উপকূলে নেই টেকসই বেড়িবাঁধ

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাতক্ষীরা ও শ্যামনগর প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্পান, ইয়াস, ফনি, বুলবুলের আঘাতের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপকূলের মানুষ। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ সালের মহাসেন, ২০১৫ সালের কোমেন, ২০১৬ সালের রোয়ানু, ২০১৭ সালের মোরা, ২০১৯ সালের ফণী, ২০১৯ সালের বুলবুল, ২০২০ সালের আম্পান, ২০২১ সালের ইয়াস, ২০২২ সালের অশনি ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এখন চলমান রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোচা।

সাতক্ষীরার ভাঙনকবলিত শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর মুন্সীগঞ্জ ও আশাশুনির প্রতাপনগর, খাঁজরা, আনুলিয়া ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লবণাক্ততা এবং প্রচণ্ড গরমে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া বালুযুক্ত জরাজীর্ণ বাঁধে বৃষ্টির পানি পড়লেই তা গলে যেতে শুরু করে। ফলে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বর্তমানে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সংস্কারের কাজ চললেও বেশ কিছু স্থান এখনো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের চাপ মোকাবিলায় সক্ষম না। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, আমরা এরই মধ্যে ১৩ জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্র্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছি।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের আব্বাস আলী, নুরুল ইসলামসহ একাধিকরা জানান, প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল, কুড়িকাউনিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার বেশ কিছু পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন জানান, সাতক্ষীরা-১ ডিভিশনের আওয়াতায় ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩ কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আমরা চিহ্নত করেছি। ইতিমধ্যে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কোনো ধরনের দুর্যোগ না এলে বাঁধ ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, মোচা সাতক্ষীরায় আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে যেকোনো দুর্যোগ এলেই জেলার উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।