মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু

৮ হাজার গাছের লিচু বিক্রি হবে ১০ কোটিতে

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কয়েক দিন পরই চলবে লিচু ভাঙার মহোৎসব। রসালো, সুমিষ্ট, সুন্দর গন্ধ ও গাঢ় লাল রঙের কারণে এ লিচুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। বলছিলাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর কথা। গ্রামের নামেই লিচুর নাম রাখা হয়েছে ‘মঙ্গলবাড়িয়া লিচু’। স্থানীয় বাজারে অনেক জাতের লিচু থাকলেও ক্রেতাদের চোখ টসটসে রসের সুস্বাদু মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দিকে। এ লিচুর স্বাদ নেওয়ার জন্য মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে ভিড় করেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা। বাগানেই এ লিচু বিক্রি হয় চড়া দামে। একশ লিচু বিক্রি হয় ৬০০-৭০০ টাকায়। মঙ্গলবাড়িয়ার অধিকাংশ লিচু বাগানই আগাম বিক্রি হয়ে যায়। কিছু পাইকার অগ্রিম গাছ কিনে পরে অতিরিক্ত দামে লিচু বিক্রি

জানা গেছে, প্রায় দুইশ বছর আগে সুদূর চীন থেকে কোনো এক ব্যক্তি প্রথমে একটি চারা এনে লাগায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকা মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে। অধিক ফলন ও রসে টসটসে ছোট বিচির কারণে এ লিচুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠে এলাকাবাসী। কিছু দিনের মধ্যেই এ জাতের লিচুর কলম চারা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। লাভজনক হওয়ায় দ্রুতই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠে গ্রামবাসী। বর্তমানে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে শোভা পাচ্ছে এ লিচুর গাছ। পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় আট হাজার লিচুর গাছ রয়েছে। এ বছর বাগান থেকে প্রায় আট থেকে ১০ কোটি কাটার লিচু বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। লিচু চাষি হেলেনা আক্তার বলেন, ১২টি গাছ রয়েছে। ৬০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। এ টাকায় সারাবছরের ধান কিনে রাখবো। এছাড়াও সংসারের অন্যও খরচ চলবে। লিচু চাষি সফির উদ্দিন জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে লিচু চাষে যুক্ত ছিলেন। এখন আমি করি। ৫০-৬০টি গাছ রয়েছে। লিচু চাষ করে লাভবান হয়েছি। পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর-ই-আলম জানান, মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু পাকুন্দিয়ার ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুকে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সারাদেশের পরিচিত করাতে পারবো।