পূরণ হয়নি এলাকাবাসীর স্বপ্ন

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভান্ডারি, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে একটি ব্রিজ না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও যাতায়াতের অভাব পূরণ হয়নি প্রায় ১০ হাজারেও বেশি মানুষের। দীর্ঘদিন ধরেই এই মানুষগুলো চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন এলে বিভিন্ন দলের এমপি প্রার্থীরা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেই ব্রিজটি নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও গত ২৫ বছরেও সে স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি এলাকাবাসীর।

উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ শ্রীনগর বড় খালের ওপর নির্মিত ষোলঘর কালীবাড়ী লঞ্চঘাট কাঠের পুল। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমসাবাদ, চকেরবাড়ি, সিংহের মাঝিপাড়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই কাঠের পুল দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ষোলঘর বাজার, এক্সপ্রেসওয়ের ষোলঘর বাসস্ট্যান্ড, ষোলঘর হাইস্কুল ও শ্রীনগর বাজারসহ কলেজে যাতায়াত করে ছাত্রছাত্রী, যাত্রীসহ রোগীরা। এছাড়া ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজার হাজার কৃষক আড়িয়ল বিলে রোপণ করা ধান, সবজিসহ কৃষিপণ্য এই পুল দিয়ে আনা-নেয়া করে থাকেন। বর্ষাকাল এলেই এই পুলের নিচ দিয়ে বালুভর্তি বাল্কহেড চলাচলে মাঝেমধ্যে পুলটি ভেঙে পড়লে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ফের মেরামত করে পুল দিয়ে যাতায়াত শুরু করেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে কালীবাড়ী লঞ্চঘাটে শ্রীনগর বড় খালের ওপর নির্মিত হয় কাঠের পুল। আগে এখানে লঞ্চে যাতায়াত করত এলাকাবাসী। পুলটির পশ্চিমে ষোলঘরের ১ নম্বর ওয়ার্ড ও আড়িয়ল বিল এবং পূর্বে ষোলঘর ইউনিয়নের ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড। পশ্চিম পাশে পুল সংলগ্ন সমসাবাদ তারা মসজিদ। এই পাড় থেকে শত শত মুসল্লি পুল দিয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, আমাদের এই ব্রিজটি না হওয়ায় স্কুল, কলেজ পড়য়া শত শত ছাত্রছাত্রী, মসজিদে যাওয়া মুসল্লিসহ আসা বহু মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। কবে যেন ব্রিজ নির্মাণ হবে জানি না। ষোলঘর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানুষের যাতায়াতের জন্য এখানে কাঠের পুলটি নির্মাণ করা হয়। আর প্রতি বছরই পুলটি আমাদের খরচে সংস্কার করি। গত বছর সরকারি ৮০ হাজার টাকার সঙ্গে আমার নিজের ব্যক্তিগত বেশ কিছু টাকা খরচ করে পুনঃ সংস্কার করি। নির্বাচন এলেই বিভিন্ন দলের এমপি প্রার্থীরা এখানে ব্রিজ নির্মাণ করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু আদৌ তার কোনো প্রতিফলন হয়নি।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, এই ব্রিজ নিয়ে এরই মধ্যে মন্ত্রী ও এলজিইডি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। তারা ব্রিজটিকে তাদের প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পাস হয়ে এলেই কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।