হাইকোর্টের নীলফামারী আইনজীবী

ঈদগাহ মাঠে মেলা বন্ধের দাবি

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

ভূমিদস্যু ও জমিন দখলকারীদের লোভাতুর দৃষ্টি থেকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম নীলফামারী ঈদগাহ মাঠ বাঁচাতে মাঠে সব ধরনের মেলা অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য আপামর মানুষ দাবি করেছে। গতমাসে আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘ঐতিহ্য হারাচ্ছে নীলফামারী হাইস্কুল মাঠ’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন মহল থেকে আরো সোচ্চার এ দাবি উঠেছে। অন্যদিকে নীলফামারী হাইস্কুল মাঠে সব ধরনের মেলা ও অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন হাইকোর্ট বারের নীলফামারীর আইনজীবীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবেদনটি ভাইরাল হলে মহূর্তে দেশ-বিদেশের শত শত সোচ্চার কণ্ঠ এক হয়ে ওঠে। দাবি ওঠে মাঠে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধের। কেউ কেউ বেদখল হওয়া মাঠের জায়গা উদ্ধারের এক হওয়ার আহ্বান জানান। অনেকেই মেলার জন্য নির্ধারিত জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেন। নীলফামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরুণ রাজনীতিবিদ ওয়াদুদ রহমান মাঠ রক্ষায় শহরের বাহিরে জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেন। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন মেলা আয়োজনে সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রধান সড়কের দারোয়ানি টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন মাঠের কথা বলেন। এদিকে নীলফামারী পৌর সভা মেয়র দেয়ান কামাল আহমেদ, মাঠ রক্ষায় তার আন্তরিকতার কথা জানান। তিনি বলেন, মাঠটি পৌর সভার না হলেও এর সবকিছু উন্নয়ন থেকে শুরু করে সবকিছু পৌর সভাকেই করতে হয়। তিনি বলেন, এর আগে পৌর সভার উদ্যোগে মাঠে সড়ক নির্মাণ, ড্রেন, বৈত্যুতিক বাতি, বসার বেঞ্চ নির্মাণ ছাড়াও ফুলের বাগান করা হয়। তিনিও মাঠ রক্ষায় শহরের বাহিরে মেলা আয়োজনের প্রস্তাব দেন। অপর দিকে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের মাত্র ২৫-৩০ গজ দূরে মেলা আয়োজন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মেলার শোরগোল ও মাইকের শব্দে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হলেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব মহলই বরাবরই এড়িয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের কথা কেউ ভাবছেন না। নীলফামারী খয়রাত হোসেন মার্কেট ও পৌর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কোরবানি ঈদের আগে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।