কেশবপুরে নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স মেরিনা খাতুনের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানি, সচল ম্যাশিন অচল দেখানো, স্বজনদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভাবমূর্তী চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই নার্স মহিলা ওয়ার্ডের রাত্রিকালিন দায়িত্ব পালনকালে কোনো মুমূর্ষু রোগী তার কাছে ইসিজি করাতে গেলে সচল ম্যাশিন অচল দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৩ বছর আগে মেরিনা খাতুন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স (সেবিকা) হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে হয়রানি করে চলেছেন। গত ১১ মে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের খালেদা খাতুন উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে ইসিজি করাতে বলেন। ওই সময় হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের রোগীদের সেবাসহ ইসিজির দায়িত্বে থাকা নার্স (সেবিকা) মেরিনা খাতুন নার্স রুমে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। ওই রোগীর স্বজনরা তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে রোগীকে ইসিজি করাতে বলেন। এ সময় ইসিজি ম্যাশিন নষ্ট বলে তিনি রোগীর স্বজনদের ফিরিয়ে দেন। তাকে বারবার অনুরোধ করার পরও কারো কথা রাখেননি। পরবর্তীতে তার কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও তিনি নম্বার নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হাসপাতালের একাধিক নার্স অভিযোগ করেন, নার্স মেরিনা খাতুন এ হাসপাতালে যোগদান করার পর থেকে সে রোগীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচারণ করাসহ রোগীদের হয়রানি করে আসছেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না। হাসপাতালের নার্স মেরিনা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।