‘ত্রাণ হিসেবে’ ঘর নির্মাণ সামগ্রী চান সেন্টমার্টিনবাসী

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ল-ভ- হয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ঝড়ের আঘাতে বেশিরভাগ স্থানীয়দের বাড়িঘর মাটিতে মিশে গেছে। থাকার একমাত্র ঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন পার করছেন অনেকে। এ অবস্থায় খাবারের চেয়ে ঘর নির্মাণসামগ্রী, নগদ টাকা ত্রাণ হিসেবে পাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসিন্দারা গণমাধ্যমে এ অনুরোধ জানান। স্থানীয়রা বলছেন, সবার ঘরে কম বেশি খাদ্য আছে। কিন্তু ঘরের চালা না থাকায় বাতাস-বৃষ্টিতে কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে। যেখানে ব্যাপক সংখ্যক গাছ ছাড়াও আধাপাকা, টিনশেড সব ঘর ভেঙে গেছে। উড়ে গেছে ছাউনি। স্মরণকালের এমন দুর্যোগে কখনো পড়েননি তারা। খাদ্যের চেয়ে এখন জরুরি ঘর সংস্কার করা। তাই ঘর নির্মাণের সামগ্রী তাদের বেশি প্রয়োজন। এ দ্বীপে ঘর নির্মাণের প্রধান উপকরণ বাঁশ টিন আর পলিথিন। যা আনতে হয় টেকনাফ থেকে। স্থানীয়রা বলছেন, ঝড়ের পর এসব উপকরণের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। আগে একশ’ বাঁশ বিক্রি হতো চার হাজার টাকায়। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা জহির খান বলেন, আমাদের বাড়িঘর ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। অনেকের বাড়ির চাল উড়ে গেছে। যাদের পলিথিন বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর ছিল সেগুলো একবারে মাটিতে মিশে গেছে। এখন আমি ভাইয়ের বাড়ির বারান্দার অল্প একটু জায়গায় থাকছি পরিবার নিয়ে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগ হলে সরকার ত্রাণ বিতরণ করে থাকে। আমাদের এখানে খাবার নয়, সবচেয়ে বেশি জরুরি বাঁশ, টিন, পলিথিন। মানে ঘরের জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন সেগুলো দরকার। সেইসঙ্গে কিছু নগদ অর্থ সহায়তা পেলে ভালো হয়। মোহাম্মদ সুমন হোসেন নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের এখানে খাবার সামগ্রীর বিশেষ প্রয়োজন নেই। আমাদের থাকার জন্য ঘরবাড়ি দরকার। ঘরগুলো যেহেতু ভেঙে গেছে, সেজন্য এগুলো নতুন করে মেরামত করতে যেসব সরঞ্জাম প্রয়োজন সেসব আমাদের দিলে ভালো হয়।