ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দাবদাহে সাতক্ষীরায় চিংড়ি ঘেরে মড়ক

দাবদাহে সাতক্ষীরায় চিংড়ি ঘেরে মড়ক

দেশের অন্যতম চিংড়ি উৎপাদনকারী জেলা সাতক্ষীরা। গত বছরও এ জেলায় ২৪ হাজার ৪৫৭ টন রপ্তানিজাত বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়। এ বছরও ২৪ হাজার ৫০০ টন চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। তবে গেল কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে ঘেরগুলোতে মরতে শুরু করেছে মাছ। এতে শঙ্কায় রয়েছেন সাতক্ষীরার মাছচাষিরা। গেল কয়েকদিন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে গোটা জেলা। উপকূলীয় আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ঘের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনাবৃষ্টি আর প্রখর রোদে মাছের ঘের আর ছোট-বড় জলাশয়গুলোতে কমে গেছে পানি। অত্যধিক তাপে এই অল্প পানি উত্তপ্ত হয়ে ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে মারা যাচ্ছে চিংড়ি পোনাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। স্থানীয় মৎস্য চাষিরা বলছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর গ্রীষ্মে তাপমাত্রা অনেক বেশি। হয়নি কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। ফলে লবণ পানির ঘেরগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে। এতে গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ঘেরে মাছে মড়ক লেগেছে। অনেকে নতুন করে আর চিংড়ি পোনা ছাড়ছেন না। আশাশুনি দয়াঘাট এলাকার মাছচাষি সমির দাস জানান, প্রচণ্ড গরম, তাপ আর পানিতে লবণাক্ততার কারণে তার তিনটি ঘেরের বাগদা চিংড়িসহ বেশকিছু মাছ মরে যাচ্ছে। অত্যধিক গরম এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গিয়ে এ অঞ্চলের প্রায় সব মৎস্য ঘেরের একই দশা। তিনি বলেন, এখানকার পানিতে এখন লবণাক্ততার পিপিটি ১৮ এর ওপর (লবণাক্ততা পরিমাপের ব্যবস্থা)। এ অবস্থায় মাছ টিকিয়ে রাখা কষ্টকর। এসব বিষয়ে মৎস্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা তাদের কাছে আসেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই এলাকার মাছ চাষি তারক বিশ্বাস বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় চিংড়ি মাছের চাষ করছি। গত ২-৩ বছর ধরে গরম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবছর আরো বেশি। বাংলাদেশ চিংড়ি রেণু পোনা উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, সাতক্ষীরায় প্রতি মৌসুমে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বাগদা রেণু পোনা বেচাকেনা হয়। এসব পোনার ৯০ শতাংশই আসে কক্সবাজার থেকে। এছাড়া কিছু স্থানীয়ভাবে ও প্রাকৃতিক উপায়ে সরবরাহ হয়। তবে তীব্র দাবদাহের কারণে এবার চিংড়ি পোনার বেচাবিক্রি কমে গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত