ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল বিল

বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল বিল

গেল চৈত্র ও বৈশাখ মাসে গাইবান্ধায় দেখা মিলেনি বৃষ্টির। টানা খর, অনাবৃষ্টির কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে প্রায় ২৬ হাজার পুকুর ও খাল-বিল-নদী। মাছ উৎপাদনক্ষম এসব পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় মাছে ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা।

গাইবান্ধা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাছ চাষযোগ্য এ জেলায় বেসরকারি বিল ১১৪টি, সরকারি পুকুর রয়েছে ৩৩১টি। এছাড়া ধানক্ষেতে মাছ চাষ হয় ৮০৩টি জমিতে, খাল ৪২টি, নদী ৬টি, অভয়শ্রম ২৯টি, রেলওয়ে জলাশয়ে ১৯টি, প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ ২০১টি।

সাদুল্লাপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের লোকমান হোসেন বলেন, আমার চারটি পুকুরে মাছচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এই সময়ে বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভর্তি থাকলেও চলতি বছর একেবারেই পানিশূন্য পুকুর, যার কারণে পুকুরে এখনো মাছের পোনা ছাড়তে পারেনি। গোবিন্দগঞ্জের হ্যাচারি মালিক নুর আলম মিয়া জানান, পোনা চাহিদা একেবারেই নেই। এতে করে লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি।

গাইবান্ধা সদরের বোয়ালী গ্রামের আব্দুল জলির মিয়া বলেন, স্যালো মেশিনে পুকুরে পানি দিয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করার চেষ্টা করছি। দাপদাহের কারণে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে। না এ কারণে মাছের পোনা ছাড়ার সাহস পাচ্ছি না। সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ বিলের ইজারাদার সেলিম আহম্মেদ তুলিপ জানান, পুকুর লিজ নিয়েছে, কিন্তু এখনো মাছের পোনা ছাড়তে পারেনি। কিছুদিন পরই বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাবে এই বিলটি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফয়সাল আজম জানান, ১৮ হাজার ৬৭৫ জন নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছে। আর ৩৪ হাজার ২২৭ জন সরাসরি মাছ চাষে যুক্ত। এ বছরে গেল মাসগুলোতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ব্যক্তি মালিকাধীন বেশ কিছু পুকুরে পানি না থাকায় এখনো পোনা অবমুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে কিছুসংখ্যক মাছ চাষিরা সেচ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত