ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিদ্যালয় সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বিদ্যালয় সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার জনতা উচ্চবিদ্যালয় পাথারপুরের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় সভাপতির বিরুদ্ধে। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে গত ১৯ এপ্রিল জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এসব পদের নিয়োগ প্রার্থীরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ওই বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে সরেজমিন এসেছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক আসাদুজ্জামান, ইমরান হাসান ও বীথি খান।

এ প্রসঙ্গে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থী ও নিয়োগ বাণ্যিজের অভিযোগকারী মো. শাহ আলম, আমিনুল ইসলাম, এসএম মাহমুদুল হাসান ও মো. সালাহউদ্দিন বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের (তারপুত্র) সভাপতির মাধ্যমে গ্রহণকৃত তিনজন নির্ধারিত ব্যক্তির মোটা অঙ্কের অর্থ জায়েজ করার নিমিত্তে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের আয়োজন করে। এতে বর্তমান ও পূর্বের সভাপতি অর্থাৎ পিতা-পুত্রের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া গোপন করেছেন। এছাড়াও পূর্বের সভাপতি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তার পছন্দের তিনজন প্রার্থীর কাছ থেকে আনুমানিক ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করায় সে নিয়োগটি অভিযোগের কারণে স্থগিত হয়। এবার ওই পদসহ সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলে চারটি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়োগের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক আসাদুজ্জামান, ইমরান হাসান ও বীথি খান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিদল হিসেবে আমরা ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে ছিলাম। আমরা বিভিন্ন পক্ষের মতামত শুনেছি। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খুব শিগগিরই পেশ করব। এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি এসএম চান মাহমুদ ও পূর্বের সভাপতি কামরুল হাসান বাবুলের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা জানান, বিদ্যালয় এলাকায় একটি পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চান না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত