পান চাষে কৃষকের ভাগ্যবদল

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এস,এম,তারেক নেওয়াজ, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পান চাষে সুদিন ফিরছে কৃষকের। বর্তমানে বাজারে পানের দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় পানচাষের প্রতি সবারই আগ্রহ বাড়ছে। চাঙা হচ্ছে- গ্রামীণ অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক প্রান্তিক কৃষক ও দরিদ্র পরিবার। এককথায় এ উপজেলার অনেক কৃষকের পানচাষে ভাগ্যবদল হয়েছে। সূত্রমতে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট বড় পাঁচ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আবাদি উঁচু জমিতে, বাড়ির পাশে, বিভিন্ন গাছে কিংবা বাড়ির উঠোনে পানচাষ বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত পান উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া, নান্দাইল, গফরগাঁও, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এরই মধ্যে উপজেলায় পানপল্লি খ্যাত সুরাটি, সিদলা, জাহাঙ্গীরপুর, পিতলগঞ্জ, ভরুয়া, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে পানচাষ করে বদলে নিচ্ছেন তাদের পরিবারের ভাগ্য।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এ উপজেলায় প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। আর তা বিক্রি করা যায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায়। উপজেলার সুরাটি, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক পানচাষি রয়েছেন।

উপজেলার সুরাটি গ্রামের পানচাষি কফিল উদ্দিন, পানান গ্রামের পানচাষি আ. লতিফ, কুড়িমারা গ্রামের পানচাষি লিয়াকত মিয়া, হারেঞ্জা গ্রামের পানচাষি হুমায়ুনসহ অনেকেই জানান, পানচাষ খুবই লাভজনক। তাদের অভাবের সংসারের অবস্থা বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম শাহজাহান কবির জানান, পানচাষ তুলনামূলকভাবে লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে পানচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি অফিসের মাঠ কর্মিরা পানচাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন।