ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুমকিতে রাস্তার বেহাল দশা

দুমকিতে রাস্তার বেহাল দশা

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া খাল গোড়া থেকে তালুকদার বাজার হয়ে সেকান্দার আলী দফাদার বাড়ির দরজার গুচ্ছ গ্রাম পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটির রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত, সংস্কার বা পাকাকরণের অভাবে ভেঙে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও মৌকরণ এ তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার জনসাধারণের যোগাযোগ মাধ্যম। উপজেলা শহর দুমকিতে নিত্যনৈমিত্তিক কার্যসম্পাদন, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের কেনাকাটা করতে যাতায়াতের ভরসা। এ ছাড়াও দুমকি, মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে পটুয়াখালী যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করে। তালুকদার বাজার, কলবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালামাল, নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের একমাত্র ভরসা এ রাস্তাটি।

মুরাদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামলা দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আরো ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় হরহামেশা।

গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে কাদায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার পাশে অবস্থিত দক্ষিণ সালামপুর মঈনুল উলুম কওমী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ ইউসুফ আলী খান বলেন, এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে ছোট ছোট শিশুদের মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, রাস্তাটির সংস্কার বা পাকাকরণের কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত আমার স্কিমে নাই। বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার জানান, ২০১৯ সনে রাস্তাটির জামলা থেকে সেকান্দার আলী দফাদার বাড়ি পর্যন্ত ১ কিমি. রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। বাকি ২ কিমি. রাস্তার অর্থ বরাদ্দ হলে পাকাকরণ করা হবে।

রাস্তাটির জরাজীর্ণ, বেহাল দশা নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও অজানা কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত