ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে উদ্ধার হওয়া ১০৮টি কচ্ছপ অবমুক্ত

ফেনীতে উদ্ধার হওয়া ১০৮টি কচ্ছপ অবমুক্ত

ফেনীতে বিপন্ন প্রজাতির ১০৮টি উদ্ধারকৃত সুন্দি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় কাজিরবাগ ইকোপার্কে উদ্ধারকৃত কিছু কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে। পরে বাকিগুলো ফেনী নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় ফেনী সদর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় (গ্যাস কোম্পানি মোড়) হতে ফেনী মডেল থানা বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে ৩ (তিন)টি ক্যারেটে মোট ১০৮টি (৮০ কেজি) কচ্ছপ (সুন্দি কাছিম) উদ্ধার করা হয়।

বিপন্ন প্রজাতির সুন্দি কাছিম পাচার সংক্রান্তে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২০ মে ২০২৩ তারিখে বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় থোয়াইঅংপ্রু মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল নেতৃত্বে দৌস মোহাম্মদ, ইন্সপেক্টর, শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ একটি বিশেষ অভিযানিক টিম ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় (গ্যাস কোম্পানি মোড়) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুন্দি কাছিম পাচারকারী কনক চন্দ্র দাস (৫৫), পিতা-উপানন্দ চন্দ্র দাস, মাতা-সমিতা বালা দাস, সাং-চরজাঙ্গালিয়া (দুর্লভ মেম্বার বাড়ি), থানা কমলনগর, জেলা-লক্ষ্মীপুরের হেফাজত হইতে তিনটি ক্যারেটে মোট ১০৮টি সুন্দি কাছিম যাহার ওজন অনুমান ৮০ কেজি উদ্ধার করা হয়। অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চর এলাকার লোকজনদের নিকট হতে কাছিমগুলো সংগ্রহ করে পাচারকারী কনক চন্দ্র দাস।

পরবর্তীতে নিজ হেফাজতে রেখে বর্ণিত ব্যক্তি ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদারীপুর, সাতক্ষীরা ও খুলনায় দীর্ঘদিন ধরে কাছিম পাচার করে আসছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত