প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত

শেষ রক্ষা হয়নি প্রেমিকযুগলের

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়েও শেষ রক্ষা হলো না এক প্রেমিকযুগলের। দুইজনের ঠিকানা এখন দুই মেরুতে। ঘটনাটি ঘটেছে কেশবপুর পৌরসভার আলতাপোল এলাকায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, পৌরসভার আলতাপোল এলাকার কসমেটিক্স ব্যবসায়ী শেখ মসিউর রহমানের ছেলে শেখ ফেরদাউস রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল উপজেলার বসুন্তিয়া গ্রামের সুমিত রায়ের মেয়ে শিল্পা রায়ের। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মান্তরীত হয়ে বিবাহ করার। গত ১৬ মে ওই প্রেমিকযুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। গত ১৭ মে শিল্পা রায় সাতক্ষীরা জেলা বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম দেন জান্নাত রহমান তুলি। গত ১৮ মে শেখ ফেরদাউস রহমান ও জান্নাত রহমান তুলি এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ সময় শেখ ফেরদাউস রহমান তার স্ত্রী জান্নাত রহমান তুলিকে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতে থাকে। এদিকে দীর্ঘ ৩ দিন মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে সুমিত রায় কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ১৯ মে রাতে কেশবপুর থানা পুলিশ শেখ ফেরদাউস রহমানের বাসা থেকে জান্নাত রহমান তুলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

শেখ ফেরদাউস রহমানের বাবা শেখ মসিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, উদ্ধার হওয়া তুলি থানা পুলিশের সামনে ধর্মান্তরীত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করে। তার আর ফেরার সুযোগ নেই বলে মা-বাবাকে জানিয়ে দেয়। শেষ মুহূর্তে জান্নাত রহমান তুলি মা-বাবার চাপে তাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা বললে দুজনের স্থান হয় দুই মেরুতে।

এ ব্যাপারে থানার ওসি মফিজুর রহমান বলেন, নিজ ইচ্ছায় শিল্পা রায় তার মা-বাবার সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ওই রাতেই তাকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।