বাজারে অপরিপক্ব লিচু বিক্রির ধুম

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

কয়েক দিনের টানা দাবদাহে দিনাজপুরে লিচুর ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে অপরিপক্ব অবস্থায় বাজারজাত শুরু করেছে লিচু ব্যবসায়ীরা। বেশি দামের আশায় পাকার আগেই লিচু বাজারে এনেছেন বিক্রেতারা। অপরিপক্ব লিচু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ২৫ তারিখের পর বাজারে আসবে মাদ্রাজি লিচু। জুন মাসের ১৫ তারিখের পর আসবে বেদানা, ২৫ জুনের পর বোম্বে এবং এরপরের সপ্তাহে চায়না থ্রি লিচু বাজারে আসবে। সবশেষে বাজারে আসবে কাঁঠালি ও মোজাফ্ফর লিচু। এরই মধ্যে জেলার কালিতলা, বাহাদুরবাজার ও হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় লিচু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মাদ্রাজি জাত বলে এসব লিচুর প্রতিশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। হকার্স মার্কেটের সামনে দেখা গেছে, সাদা ও লালচে লিচু নিয়ে বসেছেন কয়েকজন ফল বিক্রেতা। হাঁকডাক ছেড়ে বলতে শোনা যায়, ভালো খেতে চাইলে আসেন লিচু নিয়ে যান। দিনাজপুরের লিচু, মিষ্টতায় ভরপুর, দাম মাত্র ২৫০ টাকা। এভাবেই হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা। রানা আহমেদ নামের এক বিক্রেতা বলেন, নতুন ফল বাজারে উঠেছে। তাই দাম বেশি। কেউ-কেউ কিনছেন, অনেকে কিনছেন না। লিচু ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘নতুন ফল বাজারে উঠেছে, তাই ৫০টি কিনলাম ১২৫ টাকায়। খেয়ে দেখেছি, টক। টক হলেও সমস্যা নেই, ভিটামিন সি। বাহাদুরবাজার এলাকার রিপন ফল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. রিপন বলেন, এখনও স্থানীয় লিচু পাকেনি। তবে বাজারে উঠেছে। আমরা ১৯০ টাকায় শ’কিনে বিক্রি করছি ২২০-২৫০ টাকায়। বাগান থেকে লিচু নিয়ে এসেছি দাবি করে বাহাদুরবাজার এলাকার লিচু বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার বাগানে ফল কম। তবে চাহিদা আছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, অপরিপক্ব লিচুতে একপ্রকার এনজাইম থাকে। এনজাইমের কারণে পেটব্যথা, মাথাব্যথা ও যে কেউ অসুস্থ হতে পারে। খালি পেটে বেশি খেলে মৃত্যুও হতে পারে। এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান।