ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে আলোচিত পুলিশ সুপার

পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে আলোচিত পুলিশ সুপার

নীলফামারী সদরের নটখানা এলাকার নীলকুঠির পাশের পুলিশের পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে নানান প্রজাতির গাছ ফসল। ফসলের সবুজের সমারোহে ভরে গেছে মাঠ আর প্রকৃতির দৃশ্য অপরূপ সৌন্দর্যে ধারণ করেছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা ছিল দেশে ১ ইঞ্চি জমিও পতিত না থাকে সেই নির্দেশনায় নীলফামারীর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম। তিনি নীলফামারীতে যোগদানের পর থেকেই পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা এলাকায় পুলিশের প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদের তৎপরতা চালান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এসব পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে শসা, পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, বেগুন, পুঁইশাক, লালশাক, মরিচ, ডাটা, লাউ, ভুট্টাসহ নানা জাতের শাকসবজি। এসব ফসল পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।

ওই এলাকার চাষি গণেশ রায় আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের এখানকার এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল, প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশ সুপার স্যার এখানে এসে বিভিন্ন ফসলের আবাদ শুরু করেন এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করাচ্ছেন। এই চাষাবাদ দেখে স্থানীয় চাষিদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে। এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, নীলকুঠির আশপাশের জমিগুলো দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। এখন পুলিশ সদস্যরা এখানে চাষাবাদ করছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের মন্দা অর্থনীতি অবস্থা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোনো জমি যাতে পতিত না থাকে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক মাননীয় আইজিপি স্যারও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, পুলিশের যেখানেই পতিত জমি আছে, সেখানেই ফসল ফলাতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত