ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা

কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আভাষ পাওয়ার পর দিনাজপুর হাটে বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে নানা জাতের সবজির দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তিবোধ করলেও আদার দাম লাগামহীন হওয়ায় সংকটে রয়েছেন ভোক্তারা।

তিন থেকে চার দিন আগে দিনাজপুরের হাটে বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা হয়েছে। পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যের কারণে বেসামাল হয়ে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। সামনের কোরবানি ঈদের কারণে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ভারতের পেঁয়াজ আমাদানির সরকারি সদিচ্ছা ঘোষণা করায় কমতে শুরু করেছে পচনশীল পণ্য পেঁয়াজের দাম। হিলিতে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল হোসেন জানান, বাণিজ্যমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানির কথা বলায় কমতে শুরু করেছে হাটে বাজানের পেঁয়াজের দাম। গত দুই দিনে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা। ৮০ টাকার জায়গায় এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা আর কোনো কোনো বাজারে পাইকারি পেঁয়াজের কেজি পড়ছে ৬৫টি টাকা। শহরের অন্যতম পেঁয়াজের আড়ত বাহাদুর বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ী মাজেদুর রহমান জানান, সরবাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। কিন্তু সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা-ভাবনা করায় কোরবানি ঈদের আগেই পেঁয়াজের দাম সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের ভেতর সহনশীল পর্যায় থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাহাদুর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এর দাম আগামী দুুয়েক দিনে আরো কমতে পারে।

স্থলবন্দর হিলির আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, সরকার গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি না দেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাজারে সরবরাহ কমে যায়। সেজন্য পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু আমদানির আভাষ পাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা পচনশীল এই পণ্য আর মজুত করতে চাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আমদানি অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যাংকে ব্যাংকে এলসি খোলার উদ্যোগ নেবেন।

এদিকে জেলার বাজারগুলোয় নানাজাতের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বেগুন থেকে শুরু করে ঢ্যাঁড়শ, করলা, পটল ও অন্যান্য সবজি কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গত ৩ থেকে ৪ দিনে কেজিপ্রতি সবজির দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম কমার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ও সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। বাজারে সবজি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম এখন নিম্নমুখী। তবে আলুর দাম এখনও বাড়তি রয়েছে। কেজিপ্রতি বিভিন্ন জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে আদার বাজার লাগামহীন। দুই দিন আগে ১৮০ টাকার আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে আদার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা আশঙ্কা করছেন আগামী কোরবানি ঈদে আদাকে নাকি নাগালের মধ্যে থাকবে?

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত