ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

থামছেই না বন্যহাতির আক্রমণ

নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ
থামছেই না বন্যহাতির আক্রমণ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্তে কোনোভাবেই থামছে না বন্যহাতির আক্রমণ। কিছুদিন পরপর হাতির তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যচ্ছে ঘরবাড়ি, নষ্ট হচ্ছে ফসল সবজি বাগান। হাতির ভয়ে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। ঘোষগাঁও এবং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কড়ইগড়া, গোবরছনা, গাছুয়াপাড়া, দিঘলবাগ, ডেপুলিয়াপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, গলইভাঙ্গা গ্রামে ভারত থেকে নেমে এসে একটি হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলমান থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। হাতির ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছোট বাচ্চা বয়স্কদের নিয়ে রাতভর রাস্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। গত রোববার রাতে কড়ইগড়া গ্রামে হাতি তাণ্ডব চালিয়ে পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়া জাহের আলীর ৬ কাঠা জমির সবজিবাগান নষ্ট করেছে হাতির দল। এর আগে ডেপুলিয়াপাড়া এলাকায় আদিবাসী পল্লীতে হাতির আক্রমণে তেরটি বাড়ি ভেঙে যায়। কড়ইগড়া গ্রামের সাহেরা খাতুন বলেন, রাতে হাতি এসে আমার একমাত্র অবলম্বন থাকার ঘরটি ভেঙে ফেলেছে। ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এডুয়ার্ট নাফাক এ বিষয়ে সরকারি সহায়তার দাবি জানান। আগুন জ্বালিয়ে মশাল জ্বালিয়ে এবং ফটকা ফাটিয়েও হাতির দলকে তাড়াতে পারেনি। রাতভর চলে হাতির তাণ্ডব। দীর্ঘ একমাস ধরে সীমান্তে হাতির তাণ্ডব চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে হাতির তাণ্ডবে প্রাণহানি ঘটেছে দুজনের। ধোবাউড়া গারো পাহাড়ি এলাকায় গত একমাস ধরে ৪০-৪৫টি বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। এই হাতিগুলো ধান পাকার মৌসুমে প্রায় প্রতি রাতে ফসলের মাঠে হানা দেয়। কৃষকদের দাবি, বন্যহাতির অত্যাচার বন্ধে সরকারিভাবে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। উপজেলা বন বিভাগের ভিট অফিসার ছায়েদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হাতি তাড়ানোর মতো আমাদের কোনো টিম নেই তবে আমরা

মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমীন বলেন, উপজেলায় নির্দিষ্ট কোনো বন কর্মকর্তা নেই তবে হাতির বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত