ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বালু উত্তোলনে কয়েক গ্রাম হুমকির মুখে

বালু উত্তোলনে কয়েক গ্রাম হুমকির মুখে

পিরোজপুরের কাউখালী কালীগঙ্গা নদীর সয়না মোহনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দ্বীপ ইউনিয়নের হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম। জানা গেছে, কাউখালীর ১নং সয়না রঘনাথপুর ইউনিয়নে সয়না গ্রামের পশ্চিমপাশ থেকে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদী। এ নদীর পিরোজপুরের হুলারহাট অংশে রয়েছে একটি বালু মহল। এই মহলটি সরকার ইজারা দিয়ে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করছে। অপরদিকে কাউখালীর অংশে কোনো বালু মহল না থাকলে ও নিয়মিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একশ্রেণির বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে কাউখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন নামে খ্যাত ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে এসব গ্রামগুলো হলো- সয়না, রগুনাথপুর, মেঘপাল, ধাবড়ী, বান্নাকান্নাসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক এখন রাত-দিন দুশ্চিন্তায় দিন কাটে। প্রতিনিয়িত বালু উত্তোলনের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানান, মেঘপালে স্থানীয় মেম্বর ফিরোজ খান। তিনি বলেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধাবড়ীর মাহবুব হাওলাদার, সত্তরশেখ, হানিফ শেখ, সুকুরঞ্জন হালদার, মন্নান হাওলাদারসহ অসংখ্য মানুষ। অনেকেই জমি ও বাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন হওয়া ঠাঁই হয়েছে মুজিববর্ষের আশ্রয়কেন্দ্রে। নদীভাঙন রক্ষার জন্য এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়, এজন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। ফলে জেলা প্রশাসন থেকে কালীগঙ্গা নদীর সয়না মোহনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা করেন। সম্প্রতি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম ড্রেজার থেকে বালু উত্তোলনের দায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এতেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছে না বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য ফিরোজ খান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কাউখালীতে কোনো বালু মহল নেই। অবৈধভাবে যদি কেউ বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত