আজ ভয়াল ২৫ মে

আইলার ১৪ বছরেও নির্মাণ হয়নি বেড়িবাঁধ

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শাহীন, কয়রা (খুলনা)

আজ ভয়াল ২৫ মে। ২০০৯ সালের এ দিনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে প্রবল বেগে আঘাত হানে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইলা। ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে মুহূর্তের মধ্যে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও সহায় সম্পদ, জানমাল। আইলার জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রায় হরিণখোলা, ঘাটাখালি, মঠবাড়ি, পাথরখালি, গাজীপাড়া, হাজতখালি, পদ্মপুকুর, হারেজখালি, গোলখালি, শিকারীবাড়ি, দশালিয়া, পাইকগাছার সোলাদানা, দাকোপের নলিয়ান, সুতারখালি, গুনারি, কালাবাগি, সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, লেবুবুনি, পারশেমারি, আড়পাঙ্গাসিয়া, প্রতাপনগর, কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা, বরগুনার পাথরঘাটা, বাগেরহাটের রামপালসহ অন্যত্র পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গোটা দক্ষিণ জনপদ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। প্রচণ্ড ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে শিশুসহ ৪০ জন নারী-পুরুষ প্রাণ হারায়। জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো ৩ বছর ধরে মেরামত করা সম্ভব না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। কয়রার মঠবাড়ি, শিকারীবাড়ি, হারেজখালি, পাথরখালি, দাকোপের নলিয়ান, গুনারি, শ্যামনগরের গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আশাশুনির প্রতাপনগর, চাকলা, কুড়িকাহুনিয়া বেড়িবাঁধ একটানা তিন বছরের বেশি সময় অরক্ষিত থাকায় অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি জায়গা, ক্ষেতখামার দীর্ঘদিন লোনা পানিতে তলিয়ে থাকায় এলাকার মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছিল। অসহায় লোকজনের খাবার ও ত্রাণের জন্য চারিদিকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। লোনা পানির জোয়ারভাটায় গাছগাছালি মরে এলাকা মরুভূমির আকার ধারণ করেছিল। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা আঘাত হানার পরপরই সরকারের একাধিক মন্ত্রী এমপি অনেকবার কয়রায় এসে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজো পাউবোর ১৪/১, ১৪/২ পোল্ডারের সিংহভাগ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি। এখানকার বেশিরভাগ বেড়িবাঁধ দুর্বল, ক্ষয়িষ্ণু ও নাজুক অবস্থায় পড়ে রয়েছে।