নতুন কুঁড়ির অভাবে চা উৎপাদন কমে যাচ্ছে

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মৌলভী বাজার প্রতিনিধি

অধিক তাপমাত্রা ও বৃষ্টি না হওয়ায় চা গাছে আসছে না নতুন কুঁড়ি। তাপমাত্রার কারণে লাল মাকড়সার আক্রমণসহ পোকামাকড় বেড়েছে। নতুন পাতা না আসায় অনেক কষ্ট করে বাগানে ঘুরে ঘুরে চা পাতা উত্তোলন করছেন শ্রমিকরা। ফলে মৌসুমের শুরুতে অর্ধেকের কম উৎপাদন হচ্ছে চা বাগানে।

সরেজমিন মৌলভীবাজারের বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, চা বাগানে এ সময়ে নতুন কুঁড়িতে ভরে থাকার কথা থাকলেও খুব কম চা বাগানেই চা গাছের সবুজ কুঁড়ি দেখা গেছে। শ্রমিকরা প্রখর রোদে চা বাগানে কাজ করছেন।

শ্রীমঙ্গলের ক্লোনেল চা বাগানের ব্যবস্থাপক রনি ভৌমিক বলেন, আমরা এখন দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কেজি চা পাতা উত্তোলন করতে পারি। কিন্তু এ সময়ে আমাদের সাড়ে ৪ হাজার কেজি চা পাতা উত্তোলন করার কথা ছিল। সেটা হচ্ছে না বৃষ্টি না হওয়া ও অধিক তাপমাত্রার কারণে। চা বাগানে নতুন পাতা না আসায় উৎপাদন কমে গেছে। তাছাড়া চা বাগানের অনেক জায়গায় লাল মাকড়সার আক্রমণ হয়েছে। আমরা কৃত্রিমভাবে চা বাগানে পানি দিচ্ছি। এখানেও নানা সমস্যা। অধিক তাপমাত্রা ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সাধারণত লেক, ছড়া ইত্যাদি থেকে পানি উত্তোলন করে চা বাগানে দিয়ে থাকি। চা বাগানে পানির বড় উৎস মঙ্গলচন্ডি মন্দিরের পাশের পাহাড়ি ছড়া। এই ছড়ায় এখন পানি কমে গেছে। এক ঘণ্টা পাম্প চালালে পানি শেষ হয়ে যায়। আমরা চা বাগানে গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। পানির এরকম সংকট আগে হয়নি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টি না হওয়া ও তাপমাত্রা বেশি থাকায় চা গাছ খাদ্য তৈরি করতে পারছে না। বেশি তাপমাত্রা চা বাগানের জন্য ভালো না। এ কারণে চায়ের কুঁড়ি বের হচ্ছে না। চায়ের উৎপাদন ধরে রাখতে চা গাছে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। চা বাগানে টি শেড লাগাতে হবে। লাল মাকড়সার আক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।