ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড্রামের ভেলায় খাল পারাপার

ড্রামের ভেলায় খাল পারাপার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বড়হরপাড়া খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতুটি ভেঙে গেছে অনেক আগে। নতুন সেতুর জন্য অপসারণ করা হয় ভেঙে যাওয়া সেতুর মালামাল। এখন খালের দু’পাশে বসবাসরত ৬-৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অবলম্বন ড্রামের ওপরে তক্তা দিয়ে তৈরি বিশেষ ভেলা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ২০ বছর আগে বড়হর খালের ওপর নির্মিত হয় বড়হরপাড়া সেতু। নির্মাণের পর কয়েক বছর ভালো থাকলেও ৪-৫ বছর আগ থেকেই সেতুর বিভিন্ন স্থান থেকে খসে পড়ে বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা। শুধু তাই নয়, আয়রন সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ায় এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছয় মাস আগে সেতুটি অপসারণ করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেতু না থাকায় বড়হরপাড়া খালের দু’পাশে অবস্থিত বড়হরপাড়া, পৌরঘোজা, মম্বিপাড়া, গঙ্গামতিসহ ৬-৭টি গ্রামের মানুষকে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু লাগোয়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসা রয়েছে, শিশুরা ড্রামের ভেলায় পারাপার হতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আসতে হয়। পারাপারে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। ইউনুস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ড্রামের ওপর রশি টেনে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয়। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরকার নতুন সেতু করার কথা বলেছে। সেটা যেন দ্রুত করা হয়। আলম হাওলাদার নামের এক কৃষক বলেন, আমার বাড়ি বড়হরপাড়া খালের দক্ষিণ পাশে কিন্তু আমার সব কাজ খালের উত্তর পাশে পৌরঘোজায়। প্রতিদিন সেখানে কৃষিকাজে যেতে হয়। সামগ্রিক মালামাল আনা-নেয়া সবকিছু এখন এই ড্রাম টেনে করতে হয়। এতে আমরা এলাকার কৃষকরা যে কত ভোগান্তিতে আছি তা বলে বোঝানো যাবে না। পৌরঘোজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাহফুজ নামের এক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে, এখানে যখন সেতু ছিল তখন আমি একা একা স্কুলে আসতাম। এখন আমার আম্মু সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ড্রামের ভেলায় পারাপারের সময় আমার অনেক ভয় লাগে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত