ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ থামছে না

চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ থামছে না

খুলনার কয়রায় অসাধু ডিপো মালিক ও খুচরা ফড়িয়ারা বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা থেকে কোনোভাবে বিরত থাকছে না। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অসাধু চিংড়ি ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করলেও থামছে না চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার ঘড়িলাল বাজার, চরামুখা, পদ্মপুকুর, কাশিরহাট, দেউলিয়া বাজার ও আশপাশ এলাকা, ৬নং কয়রা, ফুলতলা, দেয়াড়া, চাঁদালি, হোগলা, দশালিয়া, গিলাবাড়ি, বানিয়াখালি, হড্ডা, চৌকুনি, বগা, মঠবাড়িসহ অন্যত্র শতাধিক ডিপো ও ফড়িয়াদের বাড়িতে প্রতিদিন চলছে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল হক বানিয়াখালি, দেয়াড়া, চৌকুনি, ফুলতলা, দেউলিয়া বাজার, পায়রাতলার আইট, চাঁদালির কয়েকটি ডিপো ও বাড়িতে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে চিংড়িতে সিরিঞ্জ দিয়ে জেলি, সাগু, পানি পুশ করা অবস্থায় ডিপো মালিক মফিজুল, নিতিশ, শাহিন, ফরিদ, রবিউলসহ আরো কয়েকজনকে আটক করে জরিমানা আদায় ও জেল দেন। অসাধু ডিপো মালিক ও ফড়িয়ারা প্রতিদিনি দেউলিয়া মৎস্য আড়ত, চাঁদালি মৎস্য আড়ত, চৌকুনী মৎস্যকাটা, হড্ডা মৎস্য কাটা, ফুলতলা মৎস্য কাটা থেকে সকালে মণ মণ বাগদা চিংড়ি ক্রয় করে স্ব স্ব ডিপো ও বাসাবাড়িতে নিয়ে মহিলা শ্রমিক লাগিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে অপদ্রব্য পুশ করছে। এসব চিংড়ি দুপুর ১টা নাগাদ দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়তের সামনে রাখা ট্রাকে তুলে খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের অন্যত্র নিয়ে বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে অসাধু চক্র।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল হক বলেন, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও অসাধু ডিপো মালিক ও ফড়িয়ারা গোপনে পুশ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত