প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়িতে হামলা করে স্বজনদের মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। গতকাল রোববার কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুড়িগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল আলম লিটু। তিনি বলেন, আমার ও চাচাতো ভাই হেলাল সিদ্দিক আবুর সাথে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীরের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। এরই এক পর্যায়ে ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীর গং বহিরাগত প্রায় দেড় শতাধিক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। সৌভাগ্যবশত সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে ছিলাম না বলে বেঁচে আছি। আমাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাসার ফ্রিজ, ল্যাপটপ, থাই গ্লাসের দরজা-জানালা ভেঙে তছনছ করে। এ সময় আমার স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে হেলাল সিদ্দিক আবু, দীনা বেগম, আয়শা বেগম, আফসানা বেগমসহ ৫ জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। সন্ত্রাসীরা আমার ও আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকা ব্যবসায়িক পঁচিশ লাখ টাকা লুট করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। থানায় মামলা দায়ের করা হলে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও ২ জন জামিন পেয়েছেন। এত দ্রুত কিভাবে আসামিরা জামিন পেল তা রহস্যজনক। তিনি এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি করেন।