চার প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির তালিকা থেকে বাদ

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রবিউল আলম লিটন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তির তালিকা থেকে চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে। বাদ পড়া দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করছেন।

জানা গেছে, গত বুধবার সমন্বিত উপবৃত্তির ওয়েবসাইটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় ভূরুঙ্গামারীর মইদাম উচ্চ বিদ্যালয়, বাঁশজানি উচ্চ বিদ্যালয়, শিংঝাড় দাখিল মাদ্রাসার ও সোনাহাট দাখিল মাদ্রাসা একজন শিক্ষার্থীও উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত হয়নি। এছাড়া উপজেলার প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিতে শতকরা ৪৫ ভাগের কম সংখ্যক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুন নূর মুহাম্মদ আল ফিরাজ স্বাক্ষরিত উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে শতভাগ উপবৃত্তির সুবিধাভোগী যে ১০টি উপজেলা রয়েছে, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা তার মধ্যে একটি।

মইদাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, উপবৃত্তির জন্য বিদ্যালয়ের ৪৭ জন শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়েছিল। একজন শিক্ষার্থীও উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত হয়নি। বাঁশজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কয়ছার আলী বলেন, ৫১ শিক্ষার্থীর তথ্য দেয়া হয়। উপবৃত্তির তালিকায় একজনেরও নাম নেই।

সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

শাহজাহান আলী বলেন, দুই শ্রেণির মোট ১৩৬

শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়েছিল; কিন্তু তালিকায় মাত্র একজনের নাম এসেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলার বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির তালিকায় নাম বাদ পড়েছে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনতে তারা আবেদন জমা দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম বলেন, ভূরুঙ্গামারী শতভাগ উপবৃত্তির সুবিধাভোগী উপজেলা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দেরিতে কিংবা ভুল তথ্য দেয়ার কারণে অথবা কারিগরি ত্রুটির কারণে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে আবেদন করলে তা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে জানানো হবে।