লোহার খনিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশা

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের হিলির আলিহাটে আবিষ্কৃত দেশের একমাত্র লোহার খনি থেকে লোহা উত্তোলনের সম্ভাবতা যাচাইয়ে ড্রিলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) তত্ত্বাবধানে এর কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে আবারো খনির কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন ও বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির আশায় বুক বাঁধছে স্থানীয়রা। দ্রুত যেন লোহার খনি বাস্তবায়ন করা হয়- এ দাবি তাদের। এমপি শিবলী সাদিক এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখন আবার খনির কাজ শুরু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে হিলির আলিহাট এলাকায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি) চারটি বোর হোল ড্রিলিং কার্যক্রম করে। তারা এ ড্রিলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে ৪০৮ থেকে ৬৩২ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে লৌহ আকরিকের সন্ধান পায়। এ সময় তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করে ৬৮ মিটার পুরু ও ৬২৫ মিলিয়ন টন লৌহ আকরিকের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ওই সময় নিকেলসহ চুনাপাথরের সন্ধান পান তারা। সে জরিপের পূর্ণাঙ্গতা যাচাই করতে বিসিএমসিএল দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপের কাজ শুরু করেছে। এ পর্বে আমরা ছয়টি বোর হোল ড্রিলিং করব। এর মাধ্যমে আমরা এখানে আরো নিশ্চিত হতে চাই যে, এখানে লোহার আকরিকের মজুত রয়েছে এবং তা কত গভীরতায় রয়েছে। পরবর্তী সময়ে এটা দেখা যায় যে এটা ফিজিবল। এখান থেকে আহরিত লোহার আকরিকের পরিমাণ ভালো, কোয়ালিটি ভালো, সে সঙ্গে এটি এক্সট্রাকট করা আমাদের জন্য ফিজিবল হবে সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। জিএসবি ড্রিলিং কার্যক্রম করে নিশ্চিত হয়েছিল যে এখানে লোহার আকরিকের অস্তিত্ব রয়েছে। এমপি শিবলী সাদিক বলেন, আমাদের এ প্রজেক্ট একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক প্রজেক্ট। এখানে ৬৫ থেকে শুরু করে কোথাও ৭০ ভাগ লোহার মজুদ রয়েছে। এ খনিতে শুধু লোহা নয়, এখানে নিকেলসহ আরো কয়েকটি ধাতু রয়েছে। যেগুলো অনেক মূল্যবান। বিশ্বে এসব ধাতুর চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। এখানে লোহার খনি বাস্তবায়ন হলে শুধু হাকিমপুর বা দিনাজপুরের মানুষ নয়, দেশের মানুষ উপকৃত হবে।