ছোট আকারের আম হচ্ছে না বিক্রি

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

মধ্য জ্যৈষ্ঠ মাসে পরিপক্ব হয়ে উঠছে পাবনার ঈশ্বরদীর বেশিরভাগ বাগানের আম। এখন বাগান থেকে পাকা আম নামিয়ে বিক্রির সময়। তবে বিগত বছরগুলোতে এ সময়ের মধ্যেই আমবাগান ক্রেতারা কিনতে ঘোরাঘুরি শুরু করে এবং বাগান বিক্রি করেন আম চাষিরা। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। আম চাষিরা জানান, এখনো বেশিরভাগ বাগানে ক্রেতার (ব্যাপারি) দেখা মিলছে না। অল্প সংখ্যক আম চাষিরা তাদের আমবাগান বিক্রি করলেও বেশিরভাগ আমবাগান বিক্রি করতে পারেননি। তারা জানান, এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় তীব্র খরার কবলে পড়েছে ঈশ্বরদীর আম। আমের স্বাদ ও গুণ অটুট থাকলেও এবার আমের আকার হয়েছে ছোট। তীব্র খরার কারণে চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীতে আমের আকার তুলনামূলকভাবে ছোট হয়েছে বলে জানান রফিকুল আলম নামের আম ব্যবসায়ী।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। এতে ৭ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার ফলন বেশি হবে। বাগানও বেড়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন হওয়া আমের ফলন বেশি হবে। গুটি জাতের আম আগেই পাকতে শুরু করেছে। গুটি জাতের পর গোপালভোগ এরপর পর্যায়ক্রমে হিমসাগর, খিরসা, তোতাপুরি, লকনা, দুদসর, আম পাড়া হবে। সবশেষে বারি-৪, হাঁড়িভাঙ্গা ও আশ্বিনা আম পাড়া হবে।

আমচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, আম্রপালি আমের আকার গত বছর প্রায় ২০০-২৫০ গ্রাম ছিল। এ বছর ১৫০ গ্রামের মতো হয়েছে। আকার ছোট হয়েছে এবং ফলনও কম হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, এ উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমবাগান গড়ে উঠেছে। হেক্টরপ্রতি ১৪ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৭ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। তবে প্রচণ্ড খরায় আম কিছুটা ঝরে পড়ছে। আমের আকার ছোট হয়ে গেছে। সকালে বাগানে পানি সেচ দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যদি সেচ দেয়া না যায় গাছে পানি স্প্রে করতে হবে।