ছনহরা রামহরিদাস সড়কের বেহলা দশা

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  গোলাম কাদের, পটিয়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের জনবহুল ব্যস্ততম রামহরিদাস সড়ক বর্তমানে করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সড়কের সংস্কার না থাকায় ব্রিক সলিংয়ের ইট ভেঙে গিয়ে অনেক স্থানে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, যানবাহন চালক ও স্থানীয় লোকজন বিপাকে পড়েছে। রামহরিদাস সড়কের সঙ্গে পটিয়া আনোয়ারা সড়ক ও বাসস্টেশন মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। এতে হাজার হাজার লোকজনসহ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত ধাউরডেঙ্গা সারদা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়, নজু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সড়কের পাশে রহমানিয়া জামে মসজিদ, ধাউরডেঙ্গা সার্বজনীন কালী মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াত করতেও লোকজনের সমস্যা হয়। এ সড়ক দিয়ে কার, বাস, মাইক্রো, সিএনজি ট্যাক্সি, রিকশা, ভ্যান গাড়িসহ কোনো যানবাহনই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না।

জানা যায়, ছনহরা ইউনিয়নে ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান থাকা কালে ২০০৪ সালে রামহরিদাস সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা ব্রিক সলিং দ্বারা উন্নয়ন করেন। ২০০৯ সালে ইদ্রিস মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার শূন্যপদে ২০১১ সালে কামাল উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে এ সড়কের কোনো উন্নয়ন হয়নি। ২০১৬ সালে আবদুর রশিদ দৌলতি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সড়কের কিছু কিছু অংশ রাজস্ব খাত থেকে অর্থ ব্যয় করে মেরামত করেন। ২০২২ সালে আবদুর রশিদ দৌলতি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজনে এ সড়কের উন্নয়ন কাজ করতে পারছে না।

ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, রামহরিদাস সড়কের ২ কিলোমিটার অংশে ব্রিক সলিং দ্বারা উন্নয়ন করতে বর্তমানে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রয়োজন। সড়কটির দুরাবস্থা সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী অনুপম সিকদার ও শফিক আহমেদ সড়কটি পরিদর্শন করেন। ব্রিক সলিং দ্বারা উন্নয়নের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেন। এমনকি বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি সাহেবকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সড়ক সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় লোকজন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।

সিএনজি চালক রাসেল চৌধুরী জানান, তারা সিএনজি চালাতে গিয়ে ২/১ বার সিএনজি ট্যাক্সি উল্টে যায়। ডাক্তার আবু সৈয়দ জানান, গর্ভবতী রোগীকে এ সড়ক দিয়ে হাসপাতালে নিতে গেলে যেকোনো সময় মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু মল্লিক জানান, রামহরিদাস সড়কের দুই পাশে অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসতি। কিন্তু আমাদের অবহেলার কারণে সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শফিক আহমদ বলেন, সড়কটি পরিদর্শন করে সংস্কারের ব্যাপারে একটি মতামত আমি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করব।