ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অধিক তাপমাত্রায় আমের আকার ছোট, চাষিরা পাচ্ছেন না দাম

অধিক তাপমাত্রায় আমের আকার ছোট, চাষিরা পাচ্ছেন না দাম

যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়া, অধিক তাপমাত্রায় আম আকারে ছোট ও দাগযুক্ত হওয়া, ঘূর্ণিঝড় মোখা ও চলমান ঝড়-বৃষ্টির কারণে পেড়ে ফেলতে বাধ্য হওয়ায় সাতক্ষীরার কৃষকরা আমের দাম ভালো পাচ্ছেন না। এ ছাড়া অনলাইনে সরাসরি বাগান থেকে আম বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়িরা সাতক্ষীরায় কম আসায় চাষি ও ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সদর উপজেলা সদরের আম চাষি শহীদুল ইসলাম জানান, যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমের আকার ছোট হয়েছে। আমে দেখা যাচ্ছে কালো কালো দাগ। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অনেকেই তড়িঘড়ি করে আম পাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

সুলতানপুর বড়বাজারের আড়ৎদার মোকছেদ আলী, ইদ্রিস আলী জানান, ১০ বছর ধরে আমের আড়ৎদারি করছেন। প্রচণ্ড গরম ও যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আম ছোট হয়েছে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

ঢাকা থেকে আম আসা ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে জানান, ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ আম পাচ্ছি। আত্মীয়-স্বজনদের পাঠাচ্ছি। গতবারের চেয়ে দাম কম। বাগান থেকেও প্রসেস করা আম এক থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি দিয়ে ভোক্তারা কিনছে। সাতক্ষীরা সুলতানপুর পাকা ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানান, এবার আম চাষিরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত। আম বিক্রি নেই। সরকারিভাবে আম সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা গেলে কৃষক ও ব্যবসায়িরা আমের ভালো দাম পেতে পারেন। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এবার জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টণ। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড়গুণ আম উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষক ও ব্যবসায়িরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ভালো মানের আমের ভালো দাম আছে বলে তিনি দাবি করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত