ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্রেতা সংকটে ফলের প্রধান পাইকারি আড়ত

ক্রেতা সংকটে ফলের প্রধান পাইকারি আড়ত

নোয়াখালীর মৌসুমে বিভিন্ন ফলের প্রধান পাইকারি আড়ত জমাজমাট আগের মতো নেই। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক শহর নামে খ্যাত চৌমুহনীসহ বিভিন্ন বাজারে মৌসুমে ও দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফল স্থান করে নিয়েছে। দেশীয় নানা জাতের ফলের সঙ্গে বিভিন্ন বাজারে রয়েছে বিদেশীয় ফলের সমাহার। বিক্রেতারা বলছেন অতিরিক্ত গরমের ও দাম বেশি হাওয়ায় ফলের দোকানগুলোতে ক্রেতার সংকট রয়েছে। বৈশিক অর্থনীতিকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত লোকসান। নষ্ট হচ্ছে নানা জাতের ফল। দেশের উত্তরে জেলা রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাঙামাটি, গাজীপুর, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মৌসুমী নতুন ফলের মধ্যে রয়েছে, দেশীয় ফল, আম জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন জাতের ফলের আড়ত। এ সময় ছিল নোয়াখালীর প্রধান পাইকারি ফলের আড়ত ফল পট্টি জমাজমাট, এখন সে রকম দেখা যাচ্ছে না। এ বছর প্রছুর গরমে এবং অর্থনৈতিক নানা প্রভাবে ক্রেতা সাধারণ ও ভোক্তার অভাব। এ কারণে অনেক ফলের আড়তে এ বছর লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হবে।

সাধারণ বিক্রেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আশা ফলগুলো বাজারে এসেছে, কিন্তু দেশব্যাপী অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও গরম আবহাওয়ার কারণে মানুষ বাজারে আসছে না, এছাড়া অতিরিক্ত গরমে কাঁঠাল, আনারসের চাহিদা কম থাকে। বাজারে তেমন ক্রেতা নেই, পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে না। এতে করে নষ্ট হচ্ছে নানা জাতের ফল।

পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, জ্যৈষ্ঠ মাসকে রসের মাস বলা হলেও এবার দেখা গেছে অনেক ফল বাজারে আসে কাঁঠাল আনারস, লিচু। আড়তদাররা আরো জানায় অতিরিক্ত গরমে ভালো ফল উৎপাদন হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফল আসছে, কিন্তু মানুষের আর্থিক সমস্যা টাকা-পয়সা না থাকায় চাহিদা অনুপাতে ফল বিক্রি হচ্ছে না। এছাড়া অতিরিক্ত গরমে বিক্রি হচ্ছে না। ফলে, অনেক ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা জানান ফলের বাজার মূল্য পাচ্ছে না, ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান পাইকাররা।

আমদানি করতে আগের তুলনায় গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি টাকা। তাই প্রতি কেজি ফলের বাজার মূল্য বেশি হচ্ছে বলে বাজারে তেমন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

পাইকারি আম ব্যবসায়ী জানান, এ মৌসুমে আমের চাহিদা রয়েছে ব্যাপকভ আমের মধ্যে রয়েছে, হিমসাগর, গোপালভোগ, রুপালি, লক্ষণভোগ,

হাঁড়িভাঙা, গুটিআমসহ বিভিন্ন জাতের আম। দিন দিন আমের ক্রেতা, পাইকারি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে ফলের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে, ভালো আম বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণ আম ক্রেতা বলেন, বর্তমানে শহর ও গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে দেশীয় ফলের চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে, তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় আমের চাহিদা কিছুটা বেশি। বাজার মূল্য ভালো। আম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে ভালো আম বিক্রি হচ্ছে। এ সময় নোয়াখালীর পাইকারি ফল আড়ত প্রায় ক্রেতায় ভরপুর থাকার কথা কিন্তু এখন শূন্যপ্রায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত