ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে তারপরও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ বিল

বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে তারপরও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ বিল

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়ির লোকজনসহ গ্রামবাসীর অভিযোগ রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলার পরও গত মে মাসের বিল বিগত কয়েকমাসের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিগত মাসগুলোর তুলনায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কোথাও কোথাও শতভাগ বেশি এসেছে বিদ্যুৎ বিল।

রামগঞ্জ উপজেলা শহরের একটি মার্কেটের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী মো. সজিব জানান, গত মার্চ মাসের বিল ছিলো ২৭০০ টাকা থেকে সামান্য বেশি, এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল ছিলো ২৭৩৬ টাকা কিন্তু পরবর্তী মে মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৯৯২ টাকা। রামগঞ্জ বাজারের মোবাইল ফোন দোকানের মালিক হানিফ মোল্লা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিল ছিলো ৩৪০৭ টাকা, মার্চ মাসে ৩৭৩৮, এপ্রিলে ৪০৫১ আর মে মাসে এক লাফে ৬৮৭০ টাকা। এটা কেমন বিল বুঝতে পারছি না। ২০০-৪০০ টাকা এদিক-সেদিক হতে পারে, তাই বলে দ্বিগুণ বিল! লাইন কাটার ভয়ে বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করেছি।

একই অভিযোগ ফারুক হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর। ছেরাজুল হক নামের একজন জানান, বিগত মাসগুলোতে গড়ে বিদ্যুৎ বিল আসত ১ হাজার টাকা। মে মাসে ১৯০০ টাকার বিল দেখে হতবাক হয়ে যাই। মে মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিলো বেশি। আবার বৃষ্টি ও ঝড়ের অজুহাতেও লোডশেডিং করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের বিল বেড়েছে শতভাগ। এ থেকে পরিত্রাণের কি কোনো উপায় নেই?

রামগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. নুরুল আলম ভূঁইয়া জানান, মে মাসের বিলটি ছিলো গত রমজানের। রোজার সময় সরকার লোডশেডিং না দেয়ায় বিল বেশি আসবে, স্বাভাবিক। গরমের কারণে আর বিদ্যুতের ব্যবহার আগের থেকে বেশি হওয়ায় বিলও বেশি হয়েছে। আমরা মার্চের আগে ৭৬ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ ক্রয় করেছি আর পরবর্তী মাসে (মার্চ-এপ্রিল) ক্রয় করেছি ১ কোটি ১৬ লাখ ইউনিট। বিদ্যুৎ কিনেছি বেশি, আর গ্রাহক খরচও করেছেন বেশি। বিল বেশি এ কারণেই হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত