আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০টি পশু। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক ও খামারিদের এসব পশু স্থানীয়ভাবে লক্ষ্মীপুর, দাড়িয়াপুর, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট ও মাঠেরহাটসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। এসব স্থানে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে বলদ, ষাঁড়, মহিষ, গাভী, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা হবে। অনেকে সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনতে পারবেন। তবে খামারিদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন। পশুকে অতিরিক্ত দামে খাদ্য খাওয়াইয়ে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
পশু কোরবানি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া আব্দুস ছাত্তার মণ্ডল বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে সামর্থ্য অনুযায়ী এককভাবে কোরবানি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এ বছর তার ব্যত্যয় ঘটবে। কারণ, সবকিছু দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। এজন্য এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দিতে হবে।
খামার মালিক জাহিদ হাসান জানান, কোরবানি উপলক্ষ্যে বিদেশি জাতের ৮টি গরু বিক্রির জন্য রাখছেন। গেল দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু
সম্প্রতি গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
